খাবারের তালিকায় আচারের উপস্থিতি, এ নিয়ে আলাদা করে বলার কিছু নেই। আচার স্বাদে যেমন অনন্য, তেমনি রয়েছে অনেক স্বাস্থ্যগুণ। নানা রকম স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধান ও রয়েছে। কিছু কিছু উপকারিতা নিম্নে উল্লেখ করা হয়েছে।
হজমে সহায়তা: কমবেশি সবারই কোনো না কোনো সময় হজমে সমস্যা হয়। তিনবেলা খাবারের পাতে আমলকির আচার রাখুন। এটি হজমের সমস্যা দূর করবে। আচারে থাকা লবণ শরীরে উপকারী ব্যাকটেরিয়া উৎপাদনে সাহায্য করে। যা অন্য ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াকে নিয়ন্ত্রণ রেখে হজম প্রক্রিয়ার উন্নতি ঘটায়।
ফাইবারের উপস্থিতি: সবজি ও ফলের মিশ্রণে তৈরি আচারে উচ্চমাত্রায় ফাইবার থাকে। এছাড়া ভিটামিন ‘এ’ এবং ‘সি’ তো থাকছেই।
লিভারের উপকারিতা: বিভিন্ন গোটা জাতীয় ফল অথবা আমলকির আচারে হেপাটোপ্রোটেকটিভ উপাদান থাকে যা লিভার ভালো রাখতে সাহায্য করে।
গ্যাসট্রিক বা আলসারের ঝুঁকি কমায়: নিয়মিত আমলকি বা লেবু জাতীয় ফলের আচার খেলে আলসারের ঝুঁকি কমায়।
গর্ভাবতী মায়েদের জন্য উপকারিতা: অন্তঃসত্ত্বা নারীরা আচার খেতে খুব ভালোবাসে। এর পেছনেও একটি বৈজ্ঞানিক কারণ রয়েছে। এটি দেহে অ্যাসিডিটির মাত্রা কমায় এবং সকালের অসুস্থতার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
হজম শক্তি বাড়ায়: আচারে থাকা ভিনেগার হজমক্রিয়া উন্নতিতে সাহায্য করে। তাই খাদ্যতালিকায় আচার রাখুন এবং এর কার্যকারিতা দেখুন।
স্থুলতা ও ডায়াবেটিস রুখে দেয়: বাড়িতে তৈরি আচার দেহে মাইক্রোবায়োটা পুনরুদ্ধার করে, দ্রুত চর্বি কমায় এবং ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি উপযুক্ত খাবার।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: আচারে থাকা উপকারী ব্যাকটেরিয়াতে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল উপাদান রয়েছে যা ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।