Description
ঘিয়ের উপকারিতা
ঘরে তৈরি ঘিয়ে ফসফোলিপিড থাকে যা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। কারখানায় বানানো ঘিয়ে আবার এই ফসফোলিপিড থাকে না।
ঘিয়ের ভিটামিন এ, ডি, ই ও কে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। হাড়, চুল ও চোখের জন্যও এটি উপকারী তাছাড়া অন্ত্র থেকে বিষাক্ত উপাদান দূর করতেও সাহায্য করে ঘি।
গবেষণায় দেখা গেছে ঘিয়ের চর্বির গঠন যেমন তাতে পাওয়া যায় ডিএইচএ। এই ডিএইচএ একধরনের ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। আমরা যে খাবার খাই তার থেকে খাদ্য উপাদান শোষণ করতে সাহায্য করে ওমেগা থ্রি। ঘি ছাড়াও ওয়ালনাট, মাছের তেল ও ফ্লাক্সসিড বা তিসিতে পাওয়া যায় এই ওমেগা থ্রি। ডিএইচএ ক্যানসার, হৃদরোগ, ইনস্যুলিন রেজিস্ট্যান্স, আর্থ্রাইটিস ও এডিএইচডি (এটেনশন ডেফিসিট হাইপারঅ্যাকটিভিটি ডিসঅর্ডার) প্রতিরোধে সাহায্য করে।
কী বলছেন পুষ্টিবিদ
পুষ্টিবিদ সুস্মিতা খান বলেন, ঘিয়ের অনেক স্বাস্থ্যগত উপকারিতা থাকলেও তা পরিমাণমত খাওয়া উচিৎ। একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষ দিনে ২ চা চামচের বেশি ঘি খেতে পারবেন না। আর ঘি খেলে সেদিন অন্য কোন তেল জাতীয় খাবার খাওয়া যাবে না। আবার যাদের ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, এবং কিডনির সমস্যা আছে, তারাও ঘি খাওয়ার ব্যপারে চিকিৎসকের অনুমতি নিয়েই তবে খাবেন। ঘি ছাড়াও তিল, তিসি বা বাদাম তেলে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায় যা হতে পারে ঘিয়ের বিকল্প। তাই ভেজিটারিয়ান বা ভিগান খাদ্যাভাসের ব্যক্তিরা সহজেই উদ্ভিজ্জ এসব তেল বেছে নিতে পারেন ওমেগা থ্রি পেতে।
ঘি অবশ্য অল্প পরিমাণে খাওয়াই ভালো। যাঁদের কোলস্টেরলের সমস্যা আছে তাঁদের ঘি এড়িয়ে চলা উচিত।
প্রতিদিন কেন এক চামচ ঘি খাবেন:
১. ত্বকের শুষ্কতা দূর করে তা আর্দ্র রাখে।
২. ভিটামিন এ থাকায় এটি চোখের জন্য ভালো। গ্লুকোমা রোগীদের জন্য উপকারী। এটি চোখের চাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
৩. ঘি খেলে যে হরমোন নিঃসরণ হয়, এতে শরীরের সন্ধিগুলো ঠিক থাকে।
৪. এটি অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ বলে অন্য খাবার থেকে ভিটামিন ও খনিজ শোষণ করে শরীরকে রোগ প্রতিরোধে সক্ষম করে তোলে।
৫. পোড়া ক্ষত সারাতে কাজ করে ঘি। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে আছে ঘি খেলে মস্তিষ্কের ধার বাড়ে ও স্মৃতিশক্তি বাড়ে।
Reviews
There are no reviews yet.